লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শাশুড়িকে নিয়ে উধাও মেয়ের জামাই এমদাদুল ইসলাম ওরফে এনদা। ঘটনাটি হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে। গত ২১ জানুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যাওয়া এমদাদুল ইসলাম ওরফে এনদা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে তরিফ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বড়খাতা বাজারের হাজি জামে মসজিদ এলাকার ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (২ ফেব্দুরুয়ারী) দুপুরে হাতীবান্ধা থানায় মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্বশুর নাছির উদ্দিন।
এদিকে, এমদাদুল ইসলাম এনদা’র স্ত্রী নাজনী বেগম স্বামীর নির্যাতনে আহত হয়ে বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে নাজনী বেগমকে বিয়ে করেন এমদাদুল ইসলাম এনদা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জামাই-শাশুড়ির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন ছলে প্রায়ই মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন শাশুড়ি। এসময় স্ত্রীর অলক্ষে শাশুড়ির সাথে অনৈতিক কাজে আসক্ত হয়ে পড়তো জামাই এমদাদুল। এমন সম্পর্ক দেখে প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতো নাজনী বেগমের।
সম্প্রতি নিজ বাড়িতে স্বামীর এই অপকর্ম দেখে ফেলেন নাজনী। এজন্য তাকে সাতদিন ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন স্বামী এমদাদুল। পরে নাজনী বেগম রাতে দরজা ভেঙে হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় খালার বাড়ি পালিয়ে এসে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
আর এদিকে নিজের শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান ইমদাদুল।
আপনার মতামত লিখুন :