শ্রীমঙ্গলে সুর্যমুখী চাষে সাফল্যের হাতছানি
আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
প্রকাশের সময় : মার্চ ১৯, ২০২৪, ৩:৩৭ অপরাহ্ন /
০
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সুর্যমুখী বাগানগুলো ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। সুর্যমুখীর প্লটগুলোতে এখন ফুলের সমারোহ। চাষিরাও খুব খুশি। অল্প খরচে সুর্যমুখী চাষে লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছেন সুর্যমুখী চাষিরা।
জানা গেছে, একবর্ষী ফুলগাছ সুর্যমুখীর বীজ তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশেও একটি তেল ফসল হিসেবে সুর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সুর্যমুখী তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভাটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানায়, ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে উপজেলায় সরকারিভাবে প্রথম সুর্যমুখী চাষ শুরু হয়। তখন চাষীদের প্রশিক্ষণসহ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রশিক্ষন ভাতা ও প্রণোদনা বাবদ সার ও বীজ দেয়া হয়। তাছাড়া প্রদর্শনী প্লটের পরিচর্যা, সেচ, আগাছা ও পোকা-মাকড় দমন বাবদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
শ্রীমঙ্গল কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৩৭০ জন চাষিকে সুর্যমুখী চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এবার ৫২ হেক্টর অর্থাৎ ১২৯ একর জমিতে সুর্যমুখীর চাষ হয়েছে।
সুত্র জানায়, বিশ্বে ভোজ্যতেলের মধ্যে সুর্যমুখী অত্যন্ত স্বাস্হ্যকর ও পুষ্টিকর অর্থাৎ পুষ্টিমানে সর্বোত্তম। সুর্যমুখী তেল মানে-গুনে অনন্য। এ তেল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এতে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সুর্যমুখীর চাষ হচ্ছে বলে স্হানীয় কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :