চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ-মৌলভীর দোকান সড়কের ডলু নদীর বেইলি ব্রীজের পাটাতন উপড়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উপজেলার নলুয়া ও আমিলাইষ ইউনিয়নের সংযোগস্থলে ডলু খালের উপর এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এ বেইলি ব্রীজটি দুই ইউনিয়নের সেতুবন্ধন হিসেবে স্থাপিত হয়। এ ব্রীজটি নির্মাণের পর থেকে ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।
এ ব্রীজ দিয়ে বাঁশখালী উপজেলার চাঁদপুর, চরতি, ব্রাহ্মণডাঙ্গা, দ্বীপ চরতি, আমিলাইষ, কাঞ্চনা ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।
এছাড়া সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজ, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও রসুলাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, কেরানীহাট ফাজিল মাদরাসাসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।
শুধু তাই নয়, এ সড়কের বেইলি ব্রীজটি আমিলাইষ, চরতি ও কাঞ্চানা ইউনিয়নে উৎপাদিত মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উপজেলা সদরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাজারজাত করতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্রীজের পাটাতন উপড়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ওই অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। এ অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে বলে এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রীজের পাটাতন উপড়ে পড়ার কারণে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে এলাকাবাসী হেঁটে জরুরি প্রয়োজন মেটাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আমিলাইষ ইউনিয়নের একটি ভূমিদস্যু ও বালু খেকো সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ডলু খালে এ বেইলি ব্রীজের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল এবং বালুবাহী ভারি ট্রাক নিয়মিত ওই ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করার ফলে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সরওয়ার হোসেন বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজ পরিদর্শন করেছি। খুব শীঘ্রই সেতুটি মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :