সিরাজদিখানে ফ্লাট বাসায় চলছে দেহ ব্যবসা


সংবাদদাতা, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৭, ২০২১, ১০:১০ পূর্বাহ্ন / ১৮৭
সিরাজদিখানে ফ্লাট বাসায় চলছে দেহ ব্যবসা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু বক্কর টাওয়ারের ৫ তলায় ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগম  বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরী যুবতীদের এনে দেহ ব্যবসার হাট বসিয়ে বনে গেছেন লাখ লাখ টাকার মালিক। দীর্ঘদিন ধরে এই মক্ষীরাণী প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ অপকর্ম  চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার সাথে ৬-৭ জনের দালাল চক্রও রয়েছে বলে জানান তারা। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও মান-সম্মান আর হয়রানীর ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
এই মক্ষীরাণীর অপকর্মের ফলে এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষ নৈতিক ভাবে নষ্ট হয়ে পড়ছে। অনেকের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন বিপথগামী। ফলে যুবকদের অভিভাবকরা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
ফ্লাটের মালিক উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে আবু বক্কর বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সোমবার (৪ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের লাল বাড়ি গ্রামের লাবনী (ছদ্মনাম) নামে এক নারীকে নিয়ে আসে তার ফ্লাটে। পরে ওই নারীকে খদ্দেরের হাতে তুলে দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোকালে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা সাংবাদিকসহ হাজির হন। বাড়ির ম্যানেজার ও দেহব্যবসায় জড়িতরা স্থানীয় ব্যক্তি ও সাংবাদিকের সামন থেকে কৌশলে খদ্দেরদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এসময় অভিযুক্ত দেহ ব্যবসায়ী মুক্তা বেগম প্রথমে তার নাম নিপা বেগম এবং খদ্দেরদের তার ভাই বলে পরিচয় দেন। পরে বলেন তিনি এক উকিলের মুহুরি তার কাছে এরা মামলা সংক্রান্ত কাজে এসেছে। অবশ্য, পরে দেহ ব্যবসার কথা স্বীকার করেন।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফ্লাটের মালিক আবু বক্কর স্থানীয় সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকা অফার করে নিউজটি বন্ধ রাখতে অনুনোধ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গোড়াপিপাড়া গ্রামের বাবুল বলেন, তিনি বাড়ির মালিক আবু বক্করকে অনেকবার তার বিল্ডিংয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ হয় বলে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আবু বক্করের পিতা দুদু মিয়া তালতলা খেয়া ঘাটে নৌকা চালতো। কিন্তু তার ছেলে আবু বক্কর এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার আয়ের উৎস নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাদের মনে। বাড়তি টাকার লোভে এইসব কাজ আবু বক্করের জ্ঞাতেই হয় বলে তারা জানান।
স্থানীয়রা এমন অপকর্মের প্রতিকার ও আবু বক্করের আয়ের উৎস তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, আবু বক্করের বিল্ডিংয়ে অনৈতিক কাজ চলে বলে তিনি শুনেছেন।
বিল্ডিংয়ে মালিক আবু বক্কর বলেন, তিনি এ বাড়িতে থাকেননা। কোন অনৈতিক কাজের সাথে জরিড় না। আর এই বাড়ি তার বড় বোন দেখাশোনা করে বলে জানান।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জালাল উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।