সীতাকুন্ডে ২৪৮ ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারী আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৭, ২০২০, ১২:৩৩ অপরাহ্ন / ১৭৬
সীতাকুন্ডে ২৪৮ ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারী আটক

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অভিযান চালিয়ে ২৪৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করেছে র‌্যাব। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কতিপয় মাদক কারবারী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে ফেনী হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় র‌্যাবের একটি দল সীতাকুন্ড মডেল থানাধীন জাফরাবাদ এলাকার দক্ষিন ছলিমপুর ফকিরহাট বাজারের মধ্যে অবস্থিত রিলিভার কমপ্লেক্স “রিমেডি ইনভেস্টিগেশন সেন্টার” এর সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল¬াশি শুরু করে।

এসময় তিশা প্লাটিনাম (প্রাঃ) লিঃ পরিবহনের একটি বাসকে থামিয়ে তল্লাশীকালে দুই জন যাত্রীর গতিবিধি ও কথাবার্তায় র‌্যাব সদস্যেদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের হেফাজতে থাকা ট্রলি ব্যাগ ও ট্রাভেল ব্যাগে সু-কৌশলে লুকানো অবস্থায় ২৪৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ গ্রেফতার কারা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণ বেতিয়ারা এলাকার মৃত জহির আহম্মেদের ছেলে মীর আহম্মেদ ফরহাদ (২৪) ও কুমিল্লা বুড়িচং থানার শোভারামপুর (মরহুম হাজী সিরাজ মিয়া বাড়ী) এলাকার মৃত নাছির আহম্মেদের মেয়ে কিরনা বেগম (২২)।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক কারবারীদের কাছে বিক্রয় করে আসছে। মীর আহম্মেদ ফরহাদ এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় ১ টি মাদক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সীতাকুন্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।