সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫২০১ কোটি টাকা


অর্থনীতি ডেস্ক, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জুন ১৯, ২০২১, ১:৩২ অপরাহ্ন / ৩৬৫
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫২০১ কোটি টাকা

করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার চলছেই।

গত এক বছরে সুইস ব্যাংকে জমা হওয়া টাকার পরিমাণ ৫ হাজার ২০১ কোটি।

ধারণা করা হচ্ছে এর বেশিরভাগই দেশ থেকে পাচার করা টাকা।

তবে, আগের বছরের তুলনায় শতাংশ হিসেবে এই টাকা ৭ শতাংশ কম। গত বছর সুইস ব্যাংকে জমানো টাকার পরিমাণ ছিল সাড়ে ৫ হাজার কোটিরও বেশি।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য প্রকাশ।

দেশটি সারা পৃথিবীর নাগরিকদের জমাকৃত অর্থের দেশভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করে থাকে।

তবে ব্যক্তিগত কারও তথ্য প্রকাশ করে না।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সাল শেষে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ থেকে কমে ৫৬ কোটি ২৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের যে টাকা এখন জমা আছে, তা দেশের ১০টি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি।

সারা পৃথিবীতে ধনী ব্যক্তিরা সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। দেশটির  গোপনীয়তার নীতির কারণে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের আগ্রহের জায়গা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো।

সুইজারল্যান্ডের আইনে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়।

টাকার উৎস সুইস কর্তৃপক্ষ জানতে চায় না। কোন দেশের গ্রাহকদের কী পরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে জমা আছে, তার একটি হিসাব প্রতিবছর এসএনবির বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের বাধ্যবাধকতা মেনে এসএনবি ওই তথ্য প্রকাশ করে।

ওই  প্রতিবেদনে কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করা হয় না।

বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জমানো অর্থ সব পাচারের ঘটনা নয়। যারা সুইজারল্যান্ড থাকেন বা বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িত তাদের জমানো অর্থ। তা পুরোপুরি বৈধ।

এখানে কোনো পাচারের বিষয় নেই বলে জানান তিনি।