সুন্দরবনের শরণেখোলা রেঞ্জের দুবলার জেলে পল্লীর বিভিন্ন চরে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রায় দশ সহশ্রাধিক জেলে দুই হাজার ট্রলার ও নৌকা নিয়ে শুঁটকি পল্লীতে কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত বছর এ খাত থেকে ৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে এবং চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকলে সরকারী রাজস্ব আয়ের লক্ষ মাত্রা ৮ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারনা করেছে।
জেলেরা জানায়, চরের বিশাল এ জনগোষ্ঠির সুপেয় পানির সংকট এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্দ্যোগ না থাকায় জেলেরা বিপাকে পড়েন।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহম্মেদ বলেন, সুন্দরবনে ডাকাত ও দলদস্যু মুক্ত পরিবেশ থাকায় নির্বিগ্নে মাছ আহরণ ও শুটকি উৎপাদন করতে পারবে জেলেরা।
বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল কবির ও দুবলা ফরেষ্ট টহলফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, প্রায় ১০ সহশ্রাধিক জেলে ২ হাজার ট্রলার ও নৌকা নিয়ে মৎস্য আহরণ ও শুটকির কাজে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সাগরে মাছ আহরণ ও শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত থাকবেন। শুটকি খাতে ২০২৩ সালে ৭কোটি ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ মাত্রা ৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলেদের নিরাপত্তায় বন বিভাগ, কোষ্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নজরদারী থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :