সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে এক জরিপে জানা গেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, শতকরা ৭৭ ভাগ ফিলিস্তিনি জনগণ মনে করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধে হামাস বিজয়ী হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ বা ‘মাসারাত’ এ জরিপ পরিচালনা করে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ১,২০০ ফিলিস্তিনির ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫৩ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরের গোটা ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা হামাসের রয়েছে।
অন্যদিকে শতকরা মাত্র ১৪ ভাগ বলেছেন, মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলন ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার রাখে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৬৫ ভাগ ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাস রকেট হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
গত মাসের গোড়ার দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর বর্বর ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযান ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস’সহ প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো।
দখলদার উগ্রবাদী ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।
ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট
নিক্ষেপ করে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন।
তারা এই ১২ দিনে জেরুজালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইহুদিবাদীদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।
ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার সক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে
নিতে বাধ্য হয়।
আপনার মতামত লিখুন :