রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউপি সদস্য মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই ঠাকুরদাশ গ্রাম এলাকায় সরকারি রাস্তার গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে মাহাতাবের বাড়ি ও আশা বিড়ির কারখানা।
অপর পাশে রাস্তার ধারে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা ইউক্যালিপটাস গাছগুলো শ্রমিকরা কাটছেন।
ঠাকুরদাশ গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম ও সোরাব আলী জানান, রাস্তার পাশের বাড়ি ও আশা বিড়ি কারখানার মালিক মাহাতাব মিয়া শ্রমিক দিয়ে সরকারি রাস্তার গাছগুলো কাটছেন। তিনি নাকি গাছগুলো ক্রয় করেছেন। গাছগুলোতো কাটার জন্য টেন্ডার হয় নাই। তাহলে কার কাছ থেকে ক্রয় করেছেন তিনি।
মাহাতাব মিয়া জানান, তার ঘর নির্মাণের জন্য হারাগাছ ইউপি সদস্য (মেম্বার) মহিরের কাছ থেকে ১০টি ইউক্যালিপটাস গাছ ৮৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন।
ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টাকা মেম্বারকে দিয়েছেন। মেম্বার তাঁকে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে।
তবে হারাগাছ ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম পলাশ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ওই ওয়ার্ড সদস্যের
নির্দেশে রাস্তার সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
খবর পেয়ে কাটা গাছের বেশ কয়েকটি গোলাই উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, তিনি স্থানীয় মাহাতাবের কাছে রাস্তার বেশ কয়েকটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ
১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বা চেয়ারম্যানের অনুমতি আছে কিনা প্রশ্নে বলেন, অনুমতি নেওয়া হয়নি।
অনুমতি না নেওয়াটা তাঁর ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ ঘটনায় তিনি সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ এভাবে কাটার কোনো নিয়ম নেই।
যদি কেউ আইনবহির্ভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply