রংপুরের হারাগাছে প্রকাশ্যে চলছে মাদক কারবার। যেন দেখার কেউ নেই। এতে বিপথগামী হচ্ছে উঠতি বয়সী কিশোর ও যুব সমাজ। এই এলাকায় অতি সহজেই হাতের কাছে মিলছে মাদক নামের মরণ নেশা। মাদকের ভয়াল থাবায় গ্রাস হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও যুবকরা । হারাগাছ থানার আশপাশের এলাকা গুলোতে দিন-রাতে মাদকের আসরে ভরপুর।
মাদক কারবার জমজমাট এলাকা গুলো হলো, মায়াবাজার, চর মর্নেয়া, কিশামত হাজিরবাজার, দক্ষিণ কার্তিক, বুদাই নয়ার বাজার, সৎবাজার চাদকুঠিরহাট মহাব্বাত খা বাজার, খলিফার বাজার, চোদ্দমাথা ছোট্রপুলবাজার, জয় বাংলা বাজার, সাহেবগঞ্জ বাজার সহ হারাগাছ থানার আশেপাশের এলাকায় মাদকের প্রভাব বেশি দেখা যায়।
দক্ষিণ কার্তিকের হামিদ বলেন, সন্ধা হলে এখানে মাদকের ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম বেশি চোখে পড়ে। পুলিশের নজর এড়াতে তারা নানা পন্থা বেচে নেয়। এখানে অনেক দোকান গজিয়ে উঠেছে মাদকসেবিদের জায়গা দেয়ার জন্য। মাদকাসক্ত যুবসমাজের গতিবিধি অনেকটা অপ্রত্যাশিত যেটি কোন পিতামাতার কাম্য নয়। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে এই যুবসমাজকে রক্ষা করতে অভিভাবক এখন দিশেহারা। তাদের সন্তানদের ভবিষৎ অন্ধাকারে দিকে ধাবিত হচ্ছে।
অভিভাবকগণ জানান, এই এলাকায় মাদক নামের মরণব্যাধী বিরোধী অভিযান যদি অব্যাহত থাকতো হারাগাছ সহ আশপাশে কোন রকমের মাদকদ্রব্য বিকিকিনি তো দুরের কথা নেশার আসরও বসতে সাহস পেত না। রাতের আধাঁরে মাদকের কারবার আরও বেড়ে যায়।
হারাগাছ থানা পুলিশ টুকটাক অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের কিছু অসৎ লোকের কারনে তা ব্যাহত হয়।
মাদক কারবারীদের সোর্স হাটে বাজারে পাহারায় থাকেন। পুলিশ আসলে তারা মাদক কারবারিদের তা জানিয়ে দেন। ফলে, থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান ব্যাহত হতে দেখা যায়।
এলাকাবাসির দাবি, বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োগ করে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করা হোক। তবেই মাদকমুক্ত হবে এলাকা।
আপনার মতামত লিখুন :