পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত খায়রুল ইসলাম চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সহসভাপতি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের আরও ১৫ জন।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে চরগড়গড়ি গ্রামের হুসেন আলী মাস্টারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, সামাদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নায়েব আলীর ছেলে শাহীন ও ইয়ার আলী মৌলভীর ছেলে মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিকের গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় খায়রুল ইসলাম দু’পক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দা দিয়ে খায়রুল ইসলামের ঘাড়ের নিচে কোপ দেয় এং লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন- আব্দুল মজিদ মন্ডল, জামাত আলী ফকির, পিন্টু, জমির উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, রাসেল, সাজু প্রামাণিক, রব্বে হোসেন, সানাউল্লাহ মন্ডল, কহর আলী সরদার, আলিম সরদার, আলিম মন্ডল, জিল্লু প্রামাণিক, ইছাহক হোসেন। আহতদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :