লোহাগাড়ায় হত্যা মামলা প্রত্যাহারে বাদীর বসতঘরে হামলার অভিযোগ


লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : জুলাই ১৪, ২০২৩, ২:৪৫ অপরাহ্ন / ৩৮৮
লোহাগাড়ায় হত্যা মামলা প্রত্যাহারে বাদীর বসতঘরে হামলার অভিযোগ

দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি রাতারকুলে হত্যা মামলায় আপোষনামা দিতে বাদীর বসতঘরে হামলা ও হুমকি ধামকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বাদীর পরিবার জানমালের নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে গত ৮ জুলাই লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ( যার নং-৩৮৪) দায়ের করেছেন হত্যা মামলার বাদী (বর্তমানে প্রবাসী) মোঃ নোমানের স্ত্রী নাজমা আকতার।

নাজমা আকতার জানান, তার ভাসুর আবদুস সালাম, ছেলে এ কে খান ও মেয়ের জামাই আফসারসহ কয়েকজন মিলে আরেক ভাসুর বাদিউজ্জামান বদুকে জুমার নামাজ পড়ে আসার সময় পিঠিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী মোঃ নোমান বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অন্যরা পলাতক থাকলেও এ কে খান গ্রেপ্তার হয়ে প্্রায় ১৫ মাস জেল খেটে জামিনে আসে। জামিনে আসার পর থেকে ওই মামলার আপোষনামা দিতে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে খুন, গুম, ধর্ষণ ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো জানান, গত ৩ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে এ কে খান দেশিয় অস্ত্র হাতে গালিগালাজ করতে করতে তাদের বসতঘরে হামলা করে। হত্যা মামলার আপোষ না দিলে নাজমাকে ধর্ষণ ও তার বাচ্চাকে অপহরণে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। শোর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে এ কে খান হুমকি ধামকি দিতে দিতে চলে যায়। বর্তমানে তিনি চরম আতংকে আছেন বলে জানান।

এদিকে অভিযুক্ত এ কে খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুবাই প্রবাসী তার চাচা মোঃ নোমান তাদের জায়গাজমি দখল করে রেখেছেন।

অন্যদিকে দুবাই প্রবাসী মোঃ নোমান বলেন, জায়গাজমির ব্যাপারে একাধিক বার সার্ভেয়ার আনা হয়েছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিমাপে এ কে খানদের কোন জায়গা তার দখলে নেই বলে প্রমাণিত হয়। এরপরও যদি কোন জায়গাজমি পাবে বলে তার দাবি থাকে তাহলে তিনি (প্রবাসী মোঃ নোমান) দেশে আসলে সমাধান করা যাবে। কিন্তু তার স্ত্রী-সন্তানকে হুমকি আর বসতঘরে হামলা কেন? তারাতো জায়গা দেওয়া বা নেওয়ার অধিকার রাখেনা। মুলত হত্যা মামলার আপোষনামা দেওয়ার জন্যই এ কে খান এসব নাটকের আশ্রয় নিয়েছে।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।