ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-কন্যার হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার তারু মিয়া।
পুলিশ জানায়, ২৪ এপ্রিল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তারু মিয়া নিখোঁজ হন বলে পরের দিন মেয়ে তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এসে মৌখিকভাবে জানায়। ঘটনার তিন দিন পর ২৭ এপ্রিল বড়হাটি গ্রামের ডোবা থেকে তারু মিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল নিহতের ছেলে জুবাইদ মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, তদন্তকালে তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনার কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নিশ্চিত হয় এ হত্যাকান্ডে মেয়ে জড়িত। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তানজিনা পুলিশকে জানায়, তার খালার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার বাবার। এই নিয়ে পরিবারে বিবাদ লেগেই থাকত। তাই তারু মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। ঘটনার রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভাড়াটিয়া খুনি সুমনসহ আরও তিনজনের সহায়তায় লাশ বাড়ির পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন। ঘটনায় জড়িত মা হাদিসা বেগম এবং ভাড়াটিয়া খুনি সুমন মিয়াসহ কয়েকজনের নাম জানায় তানজিনা।
পুলিশ হাদিসা বেগম ও সুমনকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :