জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার ভ্যাট দাতাদের যেকোনো প্রকার হয়রানি বন্ধ করে অধিক সহজ পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করতে চায় বলেই অনলাইনে ভ্যাট নিতে চায়। ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে যাতে কোনো প্রকারের হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে আমরা নজর দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজ দিয়ে বাসায় বসেই যাতে ভ্যাটের কাজ শেষ করতে পারেন সেই জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে আর ব্যাংকে গিয়ে লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়াতে হবে না। দেশের মোট ৮টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, যেকোনো ধরনের কার্ড বা মোবাইলের মাধ্যমেও ট্রেজারি চালানের টাকা জমা দেয়া যাবে।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজর গিফারী জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা, কাস্টমসের হয়রানি ও ভ্যাট নিয়ে দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন নুরানী।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ, সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কমিশনার মো. আবু সাঈদ, হাবিবুর রহমান হাবু, সহ-সভাপতি মাহমুদ আলম, সংগঠনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন তালুকদার, ব্যারিস্টার সামিউর রহমান, বিভাগীয় ভ্যাট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও মোফাজ্জেল হোসেন।

তিনি বলেন, আপনারা ভ্যাট দিতে এগিয়ে আসেন। আপনাদের সকল হয়রানি বন্ধে এনবিআর এগিয়ে আসবে। যখনই সমস্যায় পড়বেন আমরা তার সমাধান দেবো।

সভাপতির বক্তব্যে আবুজর গিফারী জুয়েল বলেন, বর্তমানে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে আজ ইম্পোর্টারদের উপর অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার কারণে আমরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছি। ফলে আগামীতে লৌহ সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সব বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। যাতে আগামীতে বর্ধিত ডিউটি কমিয়ে দেয়া হয়।