চোগলখুরিতার ভয়াবহ শাস্তি


ইসলাম ডেস্ক, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৫, ২০২৪, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন /
চোগলখুরিতার ভয়াবহ শাস্তি

পরস্পর ঝগড়া বিবাদ ও অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্যজনের কাছে বলাই হচ্ছে চোগলখুরি। চোগলখুরির ফলে মানুষের সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং তাদের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতার বহ্নিশিখা জ্বলে ওঠে।

হজরত ইবনে মাসউদ (রা:) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘ওহে, আমি কি তোমাদের জানাব চোগলখুরি কী? চোগলখুরি হচ্ছে ‘মানুষের মাঝে কথা চালাচালি।’ (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ (সা:) চোগলখুরি বিষয়ে বলেন, ‘চোগলখোর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

বর্তমান সময়ে চোগলখুরির ভয়াবহ অভিশাপে পারিবারিক জীবনে অশান্তি ও কলহ বিরাজ করছে। সমাজ, রাস্ট্র ও কর্মস্থলে কর্মী-দায়িত্বশীলদের মাঝে বিরূপ মনোভাবও তৈরি হচ্ছে।

কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা চোগলখুরির বিষয়টি তুলে ধরে তা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে বলেন-

‘আর অনুসরণ কর না তার; যে কথায় কথায় শপথ করে; যে লাঞ্ছিত। পেছনে নিন্দাকারী; যে একের কথা অপরের কাছে লাগিয়ে বেড়ায় যে কল্যাণের কাজে বাধা দান করে, যে সীমালঙ্ঘনকারী, পাপিষ্ঠ।’ (সুরা কলাম : আয়াত ১০-১১-১২)

আল্লাহতাআলা বলেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে, পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।’ (সূরা-১০৪ হুমাযাহ, আয়াত-১)

রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোকদের দলভুক্ত হিসেবে ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে ছিল দু’মুখো; যে একজনের কাছে এক কথা আরেকজনের কাছে ভিন্ন কথা নিয়ে হাজির হতো।’ (মুসলিম)

সুতরাং, আমাদের উচিত, চোগলখুরির মতো হারাম এবং কবিরাহ গুনাহ থেকে বিরত থাকা। যাতে জান্নাত থেকে বঞ্চিত না হই।