সোনিয়া বলেন, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল মাহফুজুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর তাদের সংসার প্রথম দিকে ভাল চললেও মাদকাসক্ত হয়ে তাকে নির্যাতন করতে শুরু করেন মাহফুজুল। মাহফুজুল হক ৫ বছর আগে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর পরপরই তিনি বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
সোনিয়ার অভিযোগ, ব্যবসা ও অন্যান্য সমস্যার কথা বলে মাহফুজুল তার বাবা ও বোনের জামাইয়ের কাছ থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেন কয়েক দফায়; কিন্তু সেসব টাকা ফেরত দেন নি। এসবের প্রতিবাদ করলেই তার উপর নির্যাতন আরও বেড়ে যেত। কিন্তু ৩ সন্তানের কথা চিন্তা করে তিনি এসব নির্যাতন সহ্য করে আসলেও বর্তমানে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এমনকি তার অমতে কয়েক মাস আগে দ্বিতীয় বিয়েও করেন তার স্বামী। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যইব্যুনালে মামলা করায় তার পরিবারের সকলকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন সোনিয়া। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সোনিয়ার বাবা মো. বাচ্চু মিজি বলেন, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মেয়ে ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগের বিষয়ে মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, আমি কাউকে নির্যাতন কিংবা হুমকি দেইনি। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply