মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাট-বাজারসহ অলি গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেশিরভাগ ওষুধের ফার্মেসির নাই ড্রাগ লাইসেন্স। এসমস্ত ফার্মেসিতে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র এবং প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট ব্যতীত জীবনরক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকও বিক্রি করা হচ্ছে অবৈধভাবে। ফলে জনগণ রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
বিশেষ করে নিম্নবিত্ত লোকজনকে ওষুধ দোকানি নিজেরাই ডাক্তার সেজে চিকিৎসা করছে। ওষুধ প্রশাসনের নীতিমালা মোতাবেক ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি করার জন্য প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু উপজেলার এসব দোকানে এ ধরণের নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত কঠোর মনিটরিং এবং বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকগন।
প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় ড্রাগ লাইসেন্স, কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই শুধুমাত্র ইউনিয়ন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গড়ে উঠেছে ওষুধের দোকান।
জনসাধারণের জন্য ওষুধ পাওয়া এবং ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করতে সরকারীভাবে ফার্মেসি এবং ওষুধের দোকান স্থাপন ও পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশিকা রয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী মডেল ফার্মেসিতে (লেভেল-১) কমপক্ষে একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট থাকবেন, তাকে সাহায্য করবেন বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ফার্মাসিস্ট। আর মডেল মেডিসিন শপে (লেভেল-২) থাকবেন কমপক্ষে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশ কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ফার্মাসিস্ট তাকে সহায়তা করবেন।
ঔষধ প্রশাসন মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান বলেন, শীঘ্রই অবৈধ ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে ওষুধ প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :