মাহফিলে কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক চেয়ে নোটিশ


মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৮, ২০২১, ১২:০৫ অপরাহ্ন / ২৯৫
মাহফিলে কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক চেয়ে নোটিশ
ধর্মীয় সভা ও ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতায় কাল্পনিক গল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য নিষিদ্ধ করে পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক করে বক্তৃতা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে কাল্পনিক গল্প ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শুনে যুবসমাজ যাতে উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে প্রভাবিত না হয় এজন্য প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থসমূহের অনুবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানানো হয়েছে।
নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, আলেম বা ধর্ম প্রচারকদের ওপর অনেক পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে আলেমগণ বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা ও ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন কাল্পনিক বক্তব্য, গালগল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া যেমন- ইউটিউব, ফেসবুকের মাধ্যমে এসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আলেমগণ বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তৃতা, ওয়াজ মাহফিলে যথাযথ কোরআন হাদীসের রেফারেন্স উল্লেখ না করে নিজেদের মতো বক্তব্য দিয়ে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনসাধারণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করছেন। যেহেতু বাংলাদেশ সংবিধানের ২ (ক) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেহেতু এই ইসলাম ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং ইসলামকে সঠিকভাবে প্রচার করা সরকারের আবশ্য পালনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় যাতে বক্তাগণ পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের রেফারেন্স উল্লেখ করে বক্তব্য দেন এবং রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য পরিহার করেন এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক।
অপরদিকে কাল্পনিক গল্প ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শুনে যুবসমাজ যাতে উগ্রবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে প্রভাবিত না হয়, এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে তথা প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের অনুবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়ে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।