মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তারা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ছেলেরা বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে শারীরীক দুরত্বে থাকার জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও তারা কিন্তু তা মানছেনা। দিনরাত বন্ধু-বান্ধব, সমবয়সী বা সহপাঠীদের সাথ আড্ডা দিয়েই কাটছে তাদের সময়।
তাদের মতে, যেহেতু তুলনামুলক জনসমাগম বেশি- হাট-বাজার, শপিংমলসহ সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা অঘোষিতভাবে স্বাভাবিক হয়ে গেছে সুতারাং শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন মানে হয়না। নিরাপত্তা বজায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য ভাবতে হবে।
অভিভাবকদের দাবী এবার উঠল জাতীয় সংসদেও।
বুধবার (২০ জানুয়ারী) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের দুইজন সাংসদ এই দাবি করেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ও সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা এতে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক।
সরকারি দলের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :