চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়নের চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা কলিম উল্লাহ চৌধুরী। থানার সোর্সগিরি আর সাঙ্গু নদীর বালুর অবৈধ ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন কলিম উল্লাহ ও তার ৪ ভাই। তাদের রয়েছে এক বিশাল ক্যাডার বাহিনী।
পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বৈলতলী ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে কলিম উল্লাহ। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকেন কলিম উল্লাহ। পরে বোল পাল্টিয়ে বিভিন্ন প্রলোভনে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ম্যানেজের মিশনে নামে কলিম উল্লাহ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথমেই দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা শেখ মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলিম। তারপর সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একপর্যায়ে জামায়াতের চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
জানা গেছে, তাদেরকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের আশ্রয় নিয়েছেন কলিম উল্লাহ। চালিয়ে যাচ্ছেন তার অবৈধ বালুর ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম।
বৈলতলী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নানভাবে হয়রানি করেছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানো তার পেশায় পরিণত হয়েছিল।
তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা তার অপকর্ম ভুলে তাকে আশ্রয় দিচ্ছেন।
এবিষয়ে কলিম উল্লাহর বক্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :