বগুড়ার শিবগঞ্জে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণ অভিযোগে ২জনকে আটক করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের চককানু গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক আতোয়ার মোল্লার মেয়ে (১৩) ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকাড় হয়েছেন। আতোয়ার ইটভাটা শ্রমিক হওয়ায় সে টাঙ্গাইলের বাসইল থানা এলাকায় এমআরবি নামক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে কাজ করে।

গত ৩০ ডিসেম্বর তার মেয়ে রাত ৯টার সময় দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে বখাটে বাবু প্রামানিক (২৩) তার পথরোধ করে ধরে ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে। একই সময়ে অজ্ঞাতনামা ২ব্যক্তি ওই ছাত্রীর হাত পা ধরে আবু তালেব ও শাকিরুল ইসলাম এর বাড়ীর মাঝখানে ড্রেনের পাড়ে নিয়ে যায়। এসময় বখাটেরা ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মুখ ও গলা চেধে ধরে থাকে। বাবু প্রমানিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের সময় ওই ছাত্রী আত্ম চিৎকার দিয়ে কৌশলে পালিয়ে বাড়িতে যায়।

বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা সাথে সাথে বাবুকে  খুজঁতে বের হয়। এক পর্যায়ে বাবু ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে দেখে পালানোর চেষ্টাকালেও তাকে ধরে ফেলে। পরে বাবুর পরিবারের লোকজন তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকৃতরা হলো চককানু গ্রামের খাইরুল ইসলামের পুত্র মোর্শেদুল ইসলাম (২০) ও একই গ্রামের শাকিরুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (১৫)।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামন বলেন, ধর্ষনের মামলা নেওয়া হয়েছে এবং ২জনকে আটক করা হয়েছে। ১নং আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।