মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার এক বক্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তেল আবিবের দমন অভিযানকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে উল্লেখ করেন এবং ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্রের পাশাপাশি আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।
দখলদার ইসরায়েলের দমন অভিযান সমর্থন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, আমরা কুদস দখলদার ইসরায়েল সরকারের প্রতি আমেরিকার সামরিক সমর্থন এবং তেল
আবিবের হাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তুলে দেয়ার মার্কিন নীতির তীব্র নিন্দা জানাই।
আমেরিকা এ সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার অপরাধে সমান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
হামাসের বিবৃতির বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা শাহাব জানায়, আমেরিকা যদি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার
দাবিতে আন্তরিক হয় তবে তাকে স্বাধীনচেতা ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার যে অধিকার দেয়া হয়েছে
তা বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাশবিক হামলায় ৬৯ শিশু, ৩৯ নারী ও ১৭ বৃদ্ধসহ ২৪৮ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
মার্কিন সমর্থনে চালানো এ হামলায় আহত হন আরও ১৯১০ ফিলিস্তিনি নাগরিক।
এই ১২ দিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে ও হামলা বন্ধ করতে তিনবার বৈঠকে বসে।
তবে আমেরিকার বিরোধিতার কারণে তেল আবিবের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply