আরএমপি’র সংবাদ সম্মেলন


সংবাদদাতা, রংপুর প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৬, ২০২১, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন / ২৩৬
আরএমপি’র সংবাদ সম্মেলন

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলিম মাহামুদ জানান, গত এক বছরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ অধীন ৬ থানায় দেড় হাজারের বেশি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। মাসে গড়ে ২৯০ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। সোয়া কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অপরাধ বিভাগের ৩ টি জোনের অধীন ৬ থানায় মোট ১ হাজার ৫০৮ টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪১০ টির অভিযোগপত্র এবং ১০৩টির ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত সমাপ্ত করে নিষ্পত্তি করাসহ ৩ হাজার ৪৭৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরে ৬ টি থানায় মোট ৩ হাজার ৮৪৭ জিআর ওয়ারেন্ট, ২  হাজার ৬০ সিআর ওয়ারেন্ট ও ১৯৬৬  সাজা ওয়ারেন্ট (জিআর ও সিআর) নিষ্পত্তি করা হয়েছে। খুনসহ ১৯  চাঞ্চল্যকর মামলা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

বুধবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে নিজ কার্যালযের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও উদ্ভূত নানা ধরণের আইনগত সমস্যা প্রতিকারের লক্ষ্যে মোট ২ হাজার ২৯৯  নন এফআই আর প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে। ৫৬৭ টি মাদক মামলা এবং বিপুল মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ১১ হাজার ১৮৩ পিছ ইয়াবা, ৩৫৫ দশমিক ৬৬ কেজি গাঁজা , ১৯৬ দশমিক ৯২ গ্রাম হেরোইন, ৭৯০ বোতল  ফেন্সিডিল, ২৬৯ লিটার চোলাই মদ, ১৮৫ লিটার স্পিরিট, ৫ হাজার ৩০০ লিটার ওয়াস , ১৪ লিটার বিদেশী মদ রয়েছে।

উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা।

ট্রাফিক বিভাগের ২ টি জোনের অধীনে ৪৮ হাজার ১৪টি মামলা হয়। এতে ২ কোটি ২১ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। চলমান করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৫ জন।

অবৈধভাবে সংরক্ষণ করা টিসিবি ও ওএমএস পণ্য উদ্ধার করে ৭ টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। ৩ টি মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয় ১৩ হাজার ৪৫৬ লিটার সয়াবিন তেল, ১ হাজার ৫৫০ কেজি চিনি, ৫০ কেজি ডাল, ১ হাজার ৫৩০ চাল কেজি এবং ২৮৮ কেজি পেয়াজ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকা।

গোয়েন্দা বিভাগ মহানগরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ টি মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার  টাকা জরিমানা এবং ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার করে।

এছাড়াও মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার-ক্লিনিক, বিআরটিএ এবং পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের প্রায় ১৫৫ জন সদস্য গ্রেফতার করা হয়।