ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণের দুমাসেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল


সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২১, ৪:৫৭ অপরাহ্ন / ৩২৭
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণের দুমাসেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল

ঠাকুরগাঁওয়ে সামান্য বাতাসে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর দিন কাটছে চরম আতঙ্কে।

মাত্র দু মাস আগে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝে পান জেলার ভুমিহীনরা। পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেও গত শুক্রবার রাতের সামান্য বাতাসের কবলে পরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশকয়েটি ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে যায়। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকটাই তরিঘরি করে ঘরগুলো নির্মাণ ও মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার না করার কারনেই সামান্য দূর্যোগে ঘরের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব ফাটল ধরা ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে অনেকে। অন্যদিকে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেলার হরিপুর উপজেলার বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম দফায় গড়ে উঠা ১৩৩ টি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকটির। ঘর পাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন দুঃশ্চিতার ভাজ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাটল ধরা ঘরে থাকা যেন মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় ধরে বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে ১৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এসব ঘর ভুমিহীনদের মাঝে বুঝে দেয়া হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে।

আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া সাবেরা খাতুন, রফিকুল ইসলাম, দুলাল, সেলিমসহ অনেকে জানান, সামান্য বাতাসে বেশকয়েকটি ঘর ফেটে গেছে। ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে এসব ফাটল ধরা ঘরে থাকতে ভয় লাগছে। অনেকে ঘর ছেড়ে বাইরে থাকছে। আমরা ভুমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছিলাম কিন্তু এমন ঘর পেলায় সে ঘরে থাকা এখন মুসকিল হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে আমাদেরকে ভাল মানের ঘর তৈরি করে দেয়া হোক। আর যারা ঘর নির্মাণে অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।

ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে স্বীকার করে হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল জানান, সবকিছুই নির্বাহী অফিসার করেছেন। ঘরগুলো টেকশই না হলে তো ব্যর্থতাই বলা যায়।

হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল করিম জানান, প্রথম ধাপের কাজ ছিল বলেই তাড়াহুড়ো করতে হয়েছে।

তবে, অনিয়ম অস্বীকার করে ফাটল ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।