‘প্রিজাইডিং স্যার তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন’


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৭, ২০২১, ৬:০২ পূর্বাহ্ন / ২৭৯
‘প্রিজাইডিং স্যার তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন’

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই হাজার ১১৪ জন এবং মহিলা ভোটার দুই হাজার ১৫৯ জন। ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় চার মেয়র প্রার্থীর নজর ছিলো এ কেন্দ্রের দিকে।

ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিলো কেন্দ্রটিতে। হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে এখানে। এছাড়াও নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে ভোটারদের আঙুলের চাপ রেখে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে এ পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে শুরু থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।

বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুজ্জামান বকুলের অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের লোকজন তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। আর ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ রেখে তাদের বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছে। শুধু এ কেন্দ্রেই না, সব কেন্দ্রেরই এমন ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে’।

বিএনপি প্রার্থী এস এম এ ছোবহান বলেন, ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৮নং কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ রেখে বের করে দিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকায় ভোট দিচ্ছে। এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে না।

ওই কেন্দ্রের বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্ট রাশেদুজ্জামান লিটন বলেন, আমার সামনেই আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছে। বাধা দেয়ায় আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।

তবে এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি ছিলো ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই প্রিজাইডিং অফিসার সুজন নাথের কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ রাখা। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ ছিলো। কক্ষের সামনে দায়িত্ব থাকা আনসার সদস্য বলেন, স্যার বাইরে তালা দিয়ে ভেতরে আছেন। পরে তিনি তালা খুলে দেন।

তখন প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, ভোটারদের ফিঙ্গার রেখে বের করে দেওয়ার অভিযোগ কেউ করেনি। একথা বলার পর থেকেই আবার ভেতর থেকে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী এসএমএ ছোবহান বলেন, ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্রে ভোটারদের ফিঙ্গার রেখে বের করে দিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থিতরা নৌকায় ভোট দেয়। প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সারা পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করুণা সিন্ধু চাকলাদার বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।