সাতকানিয়ার ব্যবসায়ী মাঈনু উদ্দীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার


সংবাদদাতা, সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০২০, ৩:৩৩ অপরাহ্ন / ১৮৭
সাতকানিয়ার ব্যবসায়ী মাঈনু উদ্দীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলাধীন কেওঁচিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে মাঈনুদ্দীনকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক অপপ্রচার, এবং ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেরানীহাট ব্যবসায়ী মহল ও সাতকানিয়ার সচেতন সুশীল সমাজ।

২০শে ডিসেম্বর(রবিবার)গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাঈনুদদীন বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে জায়গা দখল করে ব্রিকফিল্ড নির্মান করার যে অভিযোগে একটি কুচক্রীমহল বিভিন্ন জেলা থেকে লোক ভাড়া করে এনে মানবন্ধনের নামে করোনার এই মহামারীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে লোক জমায়েত করে এবং উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয় হয় তার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। কথিত মানববন্ধনে জায়গার একজন প্রকৃত মালিকও উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত কাউকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনিওনা।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, অসহায় কিছু হিন্দু পরিবারের জায়গা গুটিকয়েক লোক দখল করে জিম্মী করে রেখেছিলো। হিন্দু পরিবারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির  উৎসাহ দিলে আমি সরকারি সকল নীতি অনুসরণ করে ব্রিকফিল্ড স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করি। কিন্তু এই নির্মান প্রক্রিয়ায় স্থানীয় একটি মহল চাদাঁ দাবী করে আসছিলো বেশ কিছুদিন থেকেই।

আমি একজন স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং কেওঁচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানপুত্র হিসেবে চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই মহল সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে ব্যবসায়ীক ও সামাজিক হেয় করার জন্য ভাড়াটে লোক দিয়ে মানববন্ধনের নাটক সাজানো হয়েছে।

অথচ আমি যে জায়গার উপর ব্রিকফিল্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছি সেই জায়গার প্রকৃত মালিক আনুছুর আলী, ইসলাম মিয়া, আহমদ কবির, আহমদ ছাফা, আবুল কালাম, আলী হোসেন, সন্জিত দাশ, জাফর আহমদ, ভুবন কান্তিদাশ, রন্জিত তালুকদার, তপন কান্তি তালুকদার, স্বপন কান্তি তালুকদার, কাজী সাখাওয়াত হোসেন, সাদাত হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন, আবু নাইম, মোজাম্মেল হোসেন, মধু চরন, আবু নাঈম, আলমগীর,মনোয়ারা বেগম, আবছার উদদীন, মো-কামাল, নেজামুদদীন।

বিগত ১০বছর ধরে কোন ক্ষেত না হওয়া এবং ব্রিকফিল্ড এলাকার আশেপাশে কোন বসতি না থাকা, সর্বোপরি জমির নির্ভূলতার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যজনিত ঝুকিঁ মুক্ত হওয়ার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমার ইন্ড্রাষ্ট্রী নির্মিত হয়।

এরপরও সেই কুচক্রী মহল চাদাঁ দাবী করলে আমি বরাবরের মত অস্বীকৃতি জানালে মূলত এই কাহিনীর রচনা করেন স্বার্থন্বেষী মহল।

মাঈনুদ্দীনের লিখিত বিবৃতির পরে সরেজমিনে গিয়ে এবং জমির প্রকৃত মালিকের সাথে কথা বলে মাঈনুদদীনের পাঠানো লিখিত বিবৃতির শতভাগ সত্যতা পায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের আবদুল হকের ছেলে মাঈনুদ্দীন হাসান মনু অনেক সম্পত্তির মালিক। এরপরেও মনু কেন গরীবের জায়গার ওপর জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণ করতে চাচ্ছেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়া ইটভাটার জন্য কেউ জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারা এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।