১৯৭১ সালের ১৬ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও বাগেরহাটের শরনখোলায় যুদ্ধ চলে আরও দুদিন। টানা ৫ দিন যুদ্ধ চলার পরে ১৮ ডিসেম্বর শরণখোলা শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ইয়াং অফিসার কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা জানান, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর অবঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শরণখোলাকে পূর্ব ও পশ্চিম দু’ভাগে বিভক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। রায়েন্দা বাজারে অবস্থানরত দুটি ক্যাম্পের রাজাকারদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধকালে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। এরা হলেন শহিদ আলাউদ্দিন, টিপুসুলতান, আসাদুজ্জামান, আলতাফ হোসেন, ও গুরুপদ।
গুরুপদ ছাড়া ৪ শহিদকে রায়েন্দা বাজারে দাফন এবং গুরুপদকে সুন্দরবনের শরণখোলায় সমাহিত করা হয়।
যুদ্ধে পূর্ব ভাগে কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা ও পশ্চিম ভাগে দায়িত্বে ছিলেন মোরেলগঞ্জের আব্দুল গফফার সুবেদার।
আপনার মতামত লিখুন :