চন্দনাইশে নলকুপে জ্বলছে গ্যাস


সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) প্রকাশের সময় : মে ২৯, ২০২১, ২:০৩ অপরাহ্ন / ৪৪৭
চন্দনাইশে নলকুপে জ্বলছে গ্যাস

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাশিমপুর ৪ নং ওয়ার্ডে নলকুপে জ্বলছে গ্যাস।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২ মে হাশিমপুরের পাল পাড়ার মৃত রবিন্দ্রপালের পুত্র অমরপাল তার বসতঘরের পাশে নলকুপ বসানোর কাজ শুরু করে। ৭০ ফুট পাইপ ভিতরে প্রবেশের পরও পানির লেয়ার মিলছেইনা, বরং পানির বদলে মিলছে গ্যাসের পোয়ারা।

নলকুপ মেস্ত্রী আজিজ বলেন, আমার ৪৫ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের যেন সমাহার। পানির বদলে গ্যাসের উল্কা জনমনে শঙ্খা দেখা দিয়েছে।

ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে নলকূপ বসানোর কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফরহাদ উদ্দিন বলেছেন, তিনি বিষয়টি অমল পালের পুত্র শিমুলের কাছ থেকে জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এ দিকে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহ আলম খান বলেন, নলকূপ থেকে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি fআগে থেকে কেউ জানাননি। ২৭ মে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্যাস নির্গত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয়

সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে অবহিত করেছি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলী

বলেন, লিখিত আবেদন পেলে আমরা ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাটিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আমরা যে কূপ গুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করি তার গভীরতা প্রায় ১২ হাজার ফুট । চন্দনাইশে ৯৫ ফুট

গভীরতার নলকূপ থেকে যে গ্যাস নির্গত হচ্ছে তা বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের সুযোগ নেই।

অন্যদিকে (বাপেক্স লিমিটেডের ভূ-তত্ত বিভাগের মহাব্যবস্থাপাক মো. আলমগীর হোসেন জানান, স্বল্প গভীরতায় নলকূপ দিয়ে

বের হওয়া গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন বাপেক্স মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত

আবেদন করলে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্গত গ্যাসের নমুনা ও প্রেশার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও

ফায়ার সার্ভিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এগিয়ে আসবেন।