চসিকের নতুন ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনে উদ্যোগ


আফজালী রহমান, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩১, ২০২২, ১২:৪০ অপরাহ্ন / ৩১৪
চসিকের নতুন ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনে উদ্যোগ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) সংগৃহীত এ বর্জ্য ফেলা হয় বায়েজিদ ও হালিশহরের পৃথক দুটি ল্যান্ডফিলে (বর্জ্যাগার) নিয়ে যায়। কিন্তু এ দুটো ল্যান্ডফিল বর্তমানে অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সর্বোচ্চ আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর ল্যান্ডফিল দুটি ব্যবহার করা যাবে। এ অবস্থায় নতুন করে ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং স্টেশন গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকার ৯ একর ভূমির উপর গড়ে তোলা ল্যান্ডফিলে নগরের ২২-২৩টি ওয়ার্ড এবং বায়েজিদ আরেফিন নগরের ১১ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা ল্যান্ডফিলে ১৮-১৯টি ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলা হয়।
চসিকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ল্যান্ডফিল স্থাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ পাহাড়তলী তফশীলের ৫০ একর জমি ক্রয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভূমির মালিকগণও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে ভূমি বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জমির কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্তে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রস্তাবিত ভূমির মূল্য পরিশোধ করা হবে। গত ১৩ অক্টোবর ভূমি ক্রয়ের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে চসিক। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি মিলেনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চসিকের প্রস্তাবিত ল্যান্ডফিলের জায়গা পরিদর্শনের জন্য একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিলে ভূমি ক্রয়ের অনুমতি দেয়া হবে।
দাতা সংস্থা জাইকার একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিদিন ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন মেডিকেল বর্জ্য। উৎপাদিত বর্জ্যের মধ্যে কর্পোরেশন সংগ্রহ করে দুই হাজার টন। বাকি বর্জ্য নালা-নর্দমা, খাল-বিল, নদী ও উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকে।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, আমরা ভূমির ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। মেয়র মহোদয়ও এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করেছেন। সর্বশেষ জানতে পেরেছি জায়গা পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে দিবে। জায়গা পেলে আধুনিক ল্যান্ডফিল গড়ে তুলব।
চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা ২৫-২৬শ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে হালিশহর ও বায়েজিদের ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাই। এ দুটো ল্যান্ডফিল বর্তমানে অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সর্বোচ্চ আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর ল্যান্ডফিল দুটি ব্যবহার করা যাবে। এ অবস্থায় নতুন করে ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।