ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী যাদুরাণী হাটের বেহাল দশা


মিজানুর রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রকাশের সময় : জুলাই ১, ২০২১, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন / ২৮৯
ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী যাদুরাণী হাটের বেহাল দশা
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী বাজারে সামন্য বৃষ্টি হলেই অলিগলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সংস্কার আর সচেতনতার অভাবে কয়েক বছর ধরে যাদুরাণী বাজারের এই অবস্থা।
বাজারের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
একদিকে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে বাজার ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি বাজারে আসা ক্রেতাদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। তারপরেও বাজার উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
এমন পরিস্থিতিতে বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জোর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগি ব্যবসায়ীরা।
যাদুরাণী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, পেঁয়াজ বাজার ও পাট বাজারের গলিসহ প্রতিটি অলিগলির ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই লাজুক। হাটের দিন বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ড্রেনে পঁচা মাছ-সবজি ও পঁচা খাবারসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। আর সেই ময়লা-আবর্জনার উপর বা পাশে দাঁড়িয়ে প্রসাব করছে অনেকে। ফলে ড্রেনগুলো ভরে গেছে। ড্রেনের পাশ দিয়ে চলাচল করতে গেলেই দম বন্ধ হয়ে আসে পঁচা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ উদ্দীন বলেন, যাদুরাণী বাজারে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার  হাট বসে। কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ড্রেনগুলো নোংরা ময়লা-আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিশস্কান ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সামন্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
ফলে বাজারের অলিগলি জনগণের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পঁচা আবর্জনা বৃষ্টির পানিতে মিসে দূর্গন্ধ হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে বাজারে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের শরীরে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে।
আরো বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নষ্ট। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাস্টবিন। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার নেই কোনো নাগরিক সুবিধা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে বাজারের যে পরিস্থিতি হয় তাতে দ্রুত ড্রেন সংস্কার না করা হলে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
যাদুরাণী বাজার বণিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল বলেন, আমরা ইউএনও কে ড্রেন  পরিস্কারের বিষয় অবগত করলে তিনি আমাকে বলেন আমি চেয়ারম্যানকে বলে দিচ্ছি৷
আমগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান পাভেল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেনি৷
হরিপুর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি আজকালের মধ্যে সংস্কারের করবে৷