চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকিবাজি অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র দাবদাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ জনজীবন। এছাড়া চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল করখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে বিদ্যুতের অভাবে।
এদিকে, লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র দাবদাহে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়ালেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও লোডশেডিং। সব মিলিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।
ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও চাহিদার অর্ধেকও মিলছেনা।
স্কুল শিক্ষক আবু বকর বলেন- বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।
উপজেলা সদর বিবিরহাটের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন- ২৪ঘন্টার মধ্যে ৪ঘন্টাও বিদ্যুৎ মিলছেনা।এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ত্রাহি অবস্থা।
নানুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বলেন- বর্তমানে ফটিকছড়ির এক নম্বর সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। সমস্যা নিরসণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ চরমে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী ইয়াসিন আরফাত বলেন, ফটিকছড়িতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার চাহিদা ৩৫মেগাওয়াটের বেশি। গ্রীড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫মেগাওয়াট।
আপনার মতামত লিখুন :