ফটিকছড়িতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন


ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন /
ফটিকছড়িতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকিবাজি অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র দাবদাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ জনজীবন। এছাড়া চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল করখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে বিদ্যুতের অভাবে।

এদিকে, লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র দাবদাহে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়ালেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও লোডশেডিং। সব মিলিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও চাহিদার অর্ধেকও মিলছেনা।

স্কুল শিক্ষক আবু বকর বলেন- বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।

উপজেলা সদর বিবিরহাটের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন- ২৪ঘন্টার মধ্যে ৪ঘন্টাও বিদ্যুৎ মিলছেনা।এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ত্রাহি অবস্থা।

নানুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বলেন- বর্তমানে ফটিকছড়ির এক নম্বর সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। সমস্যা নিরসণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ চরমে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী ইয়াসিন আরফাত বলেন, ফটিকছড়িতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার চাহিদা ৩৫মেগাওয়াটের বেশি। গ্রীড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫মেগাওয়াট।