বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, শিশু মাইশাকে গলা টিপে হত্যা করেছে গর্ভধারিনী মা


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : মে ৭, ২০২৪, ৪:৪৫ অপরাহ্ন /
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, শিশু মাইশাকে গলা টিপে হত্যা করেছে গর্ভধারিনী মা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শিশু মাইশা খাতুনের (৭) মৃত‌্যুর আসল কারণ বেরিয়ে এসেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। শিশু মাইশা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে দাবি করা হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যা করেছেন তার আপন মা পপি খাতুন (২৫)।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে কৌশলে পপি খাতুনকে পুলিশ হেফাজত নেন।

মেয়েকে হত‌্যা বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন পপি খাতুন।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে মাইশার মা পপি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে যায় বাড়িতে। ওই সময় মাইশার গলায় মোবাইলফোনের চার্জারের তার জড়ানো ছিল। পপি প্রতিবেশীদের জানান, তার মেয়ে মাইশা বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে। প্রতিবেশীরা মাইশাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মাইশাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সাথে মাইশার গলায় দাগ থাকার কথাও পুলিশকে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

তিনি জানান, স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে মেয়ে মাইশাকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে  বসবাস করছিলেন পপি। মেয়েকে হত্যার কারণ হিসেবে পপি বলেন, মাইশার বাবা হয়তো আরেকটি বিয়ে করবেন। পপিরও অন্য জায়গায় বিয়ে হতে পারে। তখন মাইশাকে দেখার কেউ থাকবে না। মাইশার জীবন কাটবে কষ্টে। প্রতিবেশী একটি মেয়েকে এভাবে বড় হতে দেখেছেন পপি। এসব চিন্তাভাবনা থেকেই মাইশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।