লংগদুতে কাঠবেড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষক ও বাগান মালিকরা


বিপ্লব ইসলাম, লংগদু (রাংগামাটি) প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬:১৬ অপরাহ্ন /
লংগদুতে কাঠবেড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষক ও বাগান মালিকরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘কাঠবেড়ালি’ কবিতার কাঠবিড়ালিরা খেয়ে যাচ্ছে সাধারণ কৃষকদের স্বপ্নের ফসল।

রাংগামাটির লংগদু উপজেলার গ্রামীণ ফলজ সম্পদ আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে সবজিসহ বিভিন্ন ফলজ সম্পদ নষ্ট করছে প্রতি ৩০ সেকেন্ড সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো প্রাণি কাঠবিড়ালি।

সারাবছরই গ্রামীণ জনপদের কৃষকসহ বেশিরভাগ মানুষের পুষ্টিকর ফল খাওয়া ও বাড়তি ফলন বিক্রি করে টাকা আয় করার নিশ্চিত সুযোগ থাকলেও তা বানচাল করে দিচ্ছে কাঠবিড়ালি, বানর এবং হনুমান। তবে বেশিরভাগ সময়েই লোকসমাগম এলাকায় অন্যান্য প্রানীর ভয় থাকলেও কাঠবিড়ালি একদমই ভিতু নয়।

গ্রামীণ অর্থনীতির আশানুরূপ উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র এই প্রাণিটি।

উপজেলায় প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই কৃষক ও ফলজ বাগানের মালিকদের কাঠবিড়ালি প্রতিরোধের স্থানীয় কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অপূরণীয় এমন ক্ষতি নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে। উপজেলার কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে কাঠবিড়ালির বেপরোয়া এবং লাগামহীন ক্ষতিসাধনের কথা জানা গেছে।

কাঠবিড়ালির হাত থেকে ফলন রক্ষা করতে অনেকেই শব্দ বা ঘণ্টা বাজানোর মতো ফাঁদ ব্যবহার করছেন। প্রায় একযুগ ধরে ওই ফাঁদই এখন কাজে আসছে না।

একসময় এ প্রাণীটি মানুষের আনাগোনা ভয় পেতো, ফলন খেয়ে ফেলতো রাতের বেলায়। এখন রাতদিন সমানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এ ছোট প্রাণিটি।

অসময়ে উৎপাদিত মূল্যবান ফল-ফসল নির্বিচারে খেয়ে নষ্ট করছে কাঠবিড়ালি। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে উপজেলার অসংখ্য ভুক্তভোগিদের।