উইঘুর মুসলমানদের জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ করাচ্ছে চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ৮:২৩ অপরাহ্ন /
উইঘুর মুসলমানদের জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ করাচ্ছে চীন

চীন উইঘুর মুসলমানদের প্রতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুর এবং অন্যান্য প্রধানত মুসলিম সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা সীমিত করতে নারীদেরকে বন্ধ্যাকরণ কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনই তথ্য ওঠে এসেছে।

চীন বিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ান জেঞ্জের পরিচালিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীনের নীতিটি সম্ভবত মন্থরবেগে জনসংখ্যাগত ‘গণহত্যার’ শামিল।

প্রতিবেদনে চীনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশে চীন উইঘুর মুসলমানদের প্রতি “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন” করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন সংখ্যালঘুদের অধিকার দমন করার জন্য একটি অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে এবং বিধিবহির্ভূতভাবে উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখছে। আটক বন্দিদের সঙ্গে অপরাধমূলক আচরণ করা হচ্ছে এবং তাদের উপর জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি প্রয়াগ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়, চীন যেন অবিলম্বে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা “স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত সকল ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার” পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বেইজিংয়ের এসব পদক্ষেপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে।

চীন ২০১৭ সাল থেকে ১০ লাখের বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য করছে।

তবে চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এসব ক্যাম্প আসলে পুনঃশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা মোকাবিলায় এর দরকার রয়েছে।